শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

অ্যানি বেসান্ত, ডরোথি জিনরাজাদাস এবং মার্গারেট কাজিন্স মহিলা সাফ্রেজ আন্দোলনের অংশ হিসাবে উইমেন’স ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন (WIA) প্রতিষ্ঠা করেন ১৯১৭ সালে।  এর পরের বছর সরোজিনী নাইডুর নেতৃত্বে WIA কর্তৃক মহিলাদের ভোটের দাবিতে দাখিল করা পিটিশন ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতে নিযুক্ত মন্টেগু-চেমসফোর্ড কমিশনের কাছে পাঠানো হয়। সাউথবরো ফ্র্যাঞ্চাইজি কমিটি তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে যায় ১৯১৮-তে। কিন্তু মহিলাদের ভোটদানের সপক্ষে মাত্র দুটি প্রদেশ থেকে পিটিশন জমা পড়ায় কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, ভারতীয় মহিলারা ভোটদানে আগ্রহী নন। জয়েন্ট সিলেক্ট কমিটির সাথে লড়াই করার পর, পার্লামেন্ট মহিলাদের ভোটদানের অধিকারের বিষয়টি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপর ন্যস্ত করে। ১৯২০-২১-এ দেশের মধ্যে ত্রাভাঙ্কোর-কোচিনের দেশীয় রাজ্য প্রথম মহিলাদের ভোটাধিকারকে স্বীকৃতি দেয়। মাদ্রাজ প্রথম মেয়েদের ভোটদানের অধিকারে সিলমোহর দেয়। ওই বছরেই বম্বে রাজ্যেও মহিলাদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়। মুথুলক্ষ্মী রেড্ডী দেশের প্রথম মহিলা হিসাবে মাদ্রাজে কাউন্সিলার পদে নির্বাচিত হন ১৯২৭-এ। বাঙলায় কামিনী রায়, কুমুদিনী মিত্র এবং মৃণালিনী সেনের নেতৃত্বে নির্বাচনে মেয়েদের ভোটাধিকার অর্জন এবং দেশগঠনের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে অংশীদার হওয়ার লক্ষ্যে  ১৯২০ সালে ‘বঙ্গীয় নারী সমাজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২১ সালে বাঙলার প্রাদেশিক সরকার মেয়েদের ভোটাধিকার দানের আবেদন খারিজ করে দেয়। ১৯২৫ সালে বাঙলার মহিলারা আংশিক ও শর্তসাপেক্ষ ভোটাধিকার অর্জন করেন। বিবাহিত, শিক্ষিত এবং সম্পত্তির মালিকানা আছে এমন মহিলারাই প্রথমবার বঙ্গদেশে ভোটদান করেন তার পরের বছর, ১৯২৬ সালে। স্বাধীনতালাভের পর সমগ্র দেশে মহিলাদের ভোটাধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। (সংগৃহীত) 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ