শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

লাল চা খাওয়া শরীরের পক্ষে অবশ্যই ভালো।এতে শরীর ও মন সতেজ আর চাঙ্গা থাকে।তবে দিনে ৩ থেকে ৪ কাপের বেশী চা খাওয়া ঠিক না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

চায়ে রয়েছে অনেক বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। শুধু তা-ই নয়, চা রক্ত জমাট বাঁধাও দূর করে। আর লৌহ শোষণের মাত্রা কমায় এই চা। এতে পটাশিয়াম, জিংক তো আছেই।
রং চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে পান করলে নানা উপকার পাওয়া যায়। এই চা বিতৃষ্ণা ও বমির ভাব দূর করে, পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বাড়ায়, শরীরের প্রদাহ কমায়, শ্বাসতন্ত্রের রোগ মোকাবিলা করে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ঋতুচক্রের ফলে সৃষ্ট প্রদাহ লাঘব করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে|
‘হরেক রঙের বাহারে, সকাল হল আহারে/ চুলার পাড়ে উড়ছে ধোঁয়া, এক কাপ চা...!’ হয়তো বা এমন গানের ভাবনায় কেউ কেউ বলেন, সকালের আরেক নাম তো এক কাপ ধূমায়িত গরম চা! চা-গাছ থেকে সংগ্রহ করা পাতা থেকে প্রস্তুত-পদ্ধতির ভিন্নতা অনুসারে চা হরেক রকমের হয়।
চা তো পান করছেন নিয়মিত, কিন্তু কোন চা আপনার স্বাস্থ্যে কী রকম প্রভাব রাখছে, তা কি ভেবে দেখেছেন কখনো? এ বিষয়ে জানালেন বারডেম হাসপাতালের পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ডা. আখতারুন নাহার।
চা পান করলে কী উপকার?
চা পান করলে শরীরে চনমনে ভাব আসে—এ তো আমরা সবাই জানি। শরীর-মনজুড়ে এই ক্লান্তি দূর করে চায়ে বিদ্যমান ক্যাফেইন। এ ছাড়া চায়ে রয়েছে অনেক বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। শুধু তা-ই নয়, চা রক্ত জমাট বাঁধাও দূর করে। আর লৌহ শোষণের মাত্রা কমায় এই চা। এতে পটাশিয়াম, জিংক তো আছেই। এসব তো গেল চায়ের সাধারণ গুণাবলি। তবে বিভিন্ন চায়ের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা।
চা বারবার, কিন্তু কতবার?
কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়, তবে দিনে চার-পাঁচ কাপ চা নির্দ্বিধায় খেতে পারেন, অবশ্যই তা যদি হয় সবুজ চা কিংবা রং চা! হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সবুজ চা কিংবা ওলং চা পান করলে, যাঁরা পান করেন না, তাঁদের চেয়ে শতকরা ৪৬-৬৫ ভাগের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে। ৪০ হাজার ৫৩০ জন জাপানির ওপর আরেকটি গবেষণা করে দেখা গেছে, দিনে পাঁচ কাপের বেশি সবুজ চা পান করলে, যাঁরা চা পান করেন না, তাঁদের তুলনায় শতকরা ২৬ ভাগের হৃদ্রোগ কিংবা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকি কমে।
কালো চা (ব্ল্যাক টি)

কালো চা আমরা সাধারণত লিকার হিসেবে (রং চা) অথবা দুধ-চিনি মিশিয়ে পান করে থাকি। তবে রং চায়ে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, কালো চা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। তা ছাড়া এই চা নিয়মিত পান করলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে তা হতে হবে দুধ ছাড়া রং চা। যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাঁদের জন্য অবশ্যই রং চাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

সবুজ চা (গ্রিন টি)
নিয়মিত এই চা পান করলে আপনার ত্বক থাকবে টান টান সতেজ। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদ্রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। এর পাশাপাশি দাঁতের ক্ষয় রোধ, মাড়ি মজবুত করা তো এর নিয়মিত কাজেরই একটি। শুধু তা-ই নয়, এই চা নিয়মিত পান করলে শরীরের মেদ কোষে গ্লুকোজ ঢুকতে পারে না।

ওলং চা!
এই চা অর্ধেক গাঁজন করেই প্রস্তুত করা হয়। অর্থাৎ প্রস্তুত প্রণালির ভিত্তিতে কালো চা আর সবুজ চায়ের মাঝখানে এর অবস্থান। সবুজ চায়ের মতো এর আছে বহুমুখী গুণ। বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর ওলং চায়ের লিকার পান করলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। ওলং চা বাংলাদেশে পাওয়া যায়, তবে কিছুটা অপ্রতুল এবং দামও কিছুটা বেশিই।

সূত্র

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

চা এর গুণাগুণ বা যেকারণে চা খাবেন:

  • ১. মেদ ও ওজন হ্রাসে সহায়তা করে ।
  • ২.মানসিক বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করে।
  • ৩.অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকায় উচ্চ রক্ত-চাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল কমায় ।
  • ৪.এন্টি-ক্যান্সার প্রোপার্টি দ্বারা উৎপাদিত হওয়ায় ক্যান্সার প্রতিরোধক ।
  • ৫.পাচক, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, এবং প্রদাহ-জনিত সমস্যা দূর করে ।
  • ৬.দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে গতিশীল করে।
  • ৭.ভিটামিন সি, খনিজ এবং বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের সমৃদ্ধ ।
  • ৮.মাসিক এর ব্যাথা প্রশমিত করে এবং হরমনের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ