শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
NaiemIalam

Call

♥ ♥বিসমিল্লাহির-রহমানির-রহীম ♥♥ ভাই, ipl লিস্টের প্লিয়ার দের নাম ও প্রতেক টিম ম্যানেজমেন্ট দের নিয়ে আইপিএল এর নিলাম হয় ৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রথমে নিলামের তারিখ নির্ধারিত হয়।তারপর দলের মালিক ও কিছু সদস্য এসে খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করে।সকল দল খেলোয়াড়দের ওপর মূল্য নির্ধারণ করে।সবশেষে যে দলের মূল্য নির্ধারিত হয়।সে খেলোয়াড় সেই দলেই যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১১তম আসরের নিলাম বসতে যাচ্ছে শনিবার। দুই দিন ব্যাপী নিলাম চলবে রোববার পর্যন্ত। এবারের নিলামে বেশ কিছু নতুন নিয়ম চালু করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। নিলাম শুরু হওয়ার আগে আসুন জেনে নিই নিলামের টুকিটাকি- নিলামে কতজন খেলোয়াড় থাকছে? 
 আইপিএল-এর ১১তম আসরের জন্য সর্বমোট ৫৭৮ জন খেলোয়াড় নিলামে উঠতে যাচ্ছে। এরমধ্যে জাতীয় দলের হয়ে খেলা (ক্যাপড) ২৪৪ জন (ভারতের ৬২ জন), জাতীয় দলের বাইরের (আনক্যাপড) ৩৩২ জন (বিদেশি ৩৪ জন) ও সহযোগী দেশের ২ জন নিলামে উঠবেন। 
 প্রথম দিনই কি সব খেলোয়াড় নিলামে উঠবে? খেলোয়াড়দের দুইটি ভিন্ন সেটে ভাগ করে নিলামে তোলা হবে। ‘মারকুই’ তালিকা দিয়ে নিলাম শুরু হবে। যেখানে দুই ব্যাচে ৮ জন করে ১৬ খেলোয়াড় নিলামের ডাকে উঠবেন। প্রথম ব্যাচে থাকছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ক্রিস গেইল, কাইরন পোলার্ড, মিচেল স্টার্ক ও বেন স্টোকস। দ্বিতীয় ব্যাচে থাকবেন ডোয়াইন ব্রাভো, সাকিব আল হাসান, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জো রুট, যুবরাজ সিং ও কেন উইলিয়ামসন। মারকুই লটে পর্যায়ক্রমে ক্যাপড ও আনক্যাপড খেলোয়াড় নিলামে উঠবেন। ডাক হবে যথাক্রমে ব্যাটসম্যান, অল রাউন্ডার, উইকেটকিপার, ফাস্ট বোলার ও স্পিনারের ক্রমানুসারে। দুই দিনের নিলামে এবারই নিলামের প্রথম দিন আনক্যাপড খেলোয়াড়রা ডাকে উঠবেন। 
 নিলামের ‘দ্রুততম প্রক্রিয়া’ কি? 
 নিলামের ১৭০ জন খেলোয়াড় ডাকে ওঠার পর ‘দ্রুততম প্রক্রিয়া’ শুরু হয়ে যাবে। যেখানে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো অবশিষ্ট খেলোয়াড় থেকে মনোনয়নের জন্য খেলোয়াড়ের একটি তালিকা করতে পারবে। তালিকাটি প্রথম দিন রাত ১০টায় উপস্থাপন করতে হবে এবং মনোনীত খেলোয়াড়রা পরবর্তী দিন নিলামের ডাকে উঠবেন। একবার এ তালিকা উপস্থাপন হয়ে গেলে, ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে ৫৭৮ জনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে নিজেদের চাহিদার তালিকা দিতে বলা হবে। সব খেলোয়াড়ের ডাক সম্পন্ন হলে অবিক্রীত খেলোয়াড়দের আবার নিলামে তোলা হবে। 
 একটি ফ্রাঞ্চাইজি কি পরিমাণ টাকা খরচ করতে পারবে? আইপিএল-এর নতুন নীতি অনুসারে, একটি ফ্রাঞ্চাইজি সর্বোচ্চ ৮০ কোটি ভারতীয় রুপি (১২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) তাদের স্কোয়াডের জন্য ব্যয় করতে পারবে। নতুন নিয়মে ঠিক করে দেয়া হয়েছে, ক্যাপড খেলোয়াড়দের পেছনে বেতনের ৭৫% অর্থ ব্যয় করা যাবে। যার পরিমাণ ৬০ কোটি রুপি (আনুমানিক ৯.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। খেলোয়াড় ধরে রাখার পর ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর কাছে কি পরিমাণ টাকা থেকে যাবে? 
 খেলোয়াড় ধরে রাখার পর রাজস্থান রয়্যালস ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের কাছে সবচেয়ে বেশি টাকা অবশিষ্ট থাকবে; যার পরিমাণ ৬৭.৫ কোটি রুপি (১০.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে থাকবে ৪৭ কোটি রুপি (৭.৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর কাছে থাকবে ৪৯ কোটি রুপি (৭.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছেও ব্যয় করার জন্য যথেষ্ট অর্থ থাকবে। এর পরিমাণ ৫৯ কোটি রুপি (৯.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। কারা কোন খেলোয়াড় ধরে রাখছে? 
 চেন্নাই সুপার কিংস : মহেন্দ্র সিং ধোনি, সুরেশ রায়না, রবীন্দ্র জাদেজা। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স : রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, জসপ্রিত বুমরাহ। 
 রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু : বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, সরফরাজ খান। 
 কলকাতা নাইট রাইডার্স : সুনিল নারিন, আন্দ্রে রাসেল। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস : রিশাভ পন্ট, ক্রিস মরিস, শ্রেয়াস আয়ার। 
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব : অক্ষর প্যাটেল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ : ডেভিড মিলার, ভুবনেশ্বর কুমার। 
 রাজস্থান রয়ালস : স্টিভেন স্মিথ। 
 খেলোয়াড় ধরে রাখার পর একটি ফ্রাঞ্চাইজির কাছে কয়টি ‘রাইট টু ম্যাচ’ (আরটিএম) কার্ড থাকবে? 
 খেলোয়াড় ধরে রাখার নতুন নিয়মে ঠিক করে দেয়া হয়েছে, একটি ফ্রাঞ্চাইজি নিলামের পূর্বে ধরে রাখা ও আরটিএম মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫ জন খেলোয়াড় ধরে রাখতে পারবে। একটি ফ্রাঞ্চাইজি ৩ জন ভারতীয় ক্যাপড ও ২ জন বিদেশি ক্যাপড খেলোয়াড় ধরে রাখতে পারবে। তিন জন করে খেলোয়াড় ধরে রাখার পর চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ২টি আরটিএম কার্ড আছে। অন্য ৪ ফ্রাঞ্চাইজিগুলো কাছে ৩টি করে আরটিএম কার্ড আছে। কোন খেলোয়াড়ের জন্য তাদের দল আরটিএম ব্যবহার করতে পারবে? 
 তিন জন করে ভারতীয় ক্যাপড খেলোয়াড় থাকার কারণে চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স অশ্বিন ও হরভজন সিংহের জন্য আরটিএম ব্যবহার করতে পারবে না। অন্যদিকে নাইট রাইডার্সে দুইজন বিদেশি ক্যাপড খেলোয়াড় (রাসেল ও নারিন) থাকার কারণে ক্রিস ওকস বা সাকিব আল হাসানের মতো কোন বিদেশি ক্যাপড খেলোয়াড়ের জন্য আরটিএম কার্ড ব্যবহার করতে পারবে না। 
 কারা ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ আরটিএম টার্গেট? 
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স : মিচেল ম্যাকক্লেনেগান এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া/জস বাটলার/কাইরন পোলার্ড। চেন্নাই সুপার কিংস : ডোয়াইন ব্রাভো/অ্যান্দ্রে টাই/ এবং ব্রেন্ডন ম্যাকলাম/ফ্যাফ ডু প্লেসি। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস : কাগিসো রাবাদা/কুইন্টন ডি কক। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ : রশিদ খান ও শিখর ধাওয়ান। রাজস্থান রয়্যালস : আজিঙ্কা রাহানে। রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু : যুজবেন্দ্র চাহাল, লোকেশ রাহুল/ক্রিস গেইল। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব : ডেভিড মিলার ও হাশিম আমলা। কলকাতা নাইট রাইডার্স : গৌতম গম্ভির, রবিন উথাপা/মনিশ পান্ডে ও কুলদিপ যাদব। 
স্কোয়াড গঠনের কোন নির্দিষ্ট নিয়ম আছে কি? 
প্রত্যেক ফ্রাঞ্চাইজিকে সর্বনিম্ন ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ খেলোয়াড় নিয়ে স্কোয়াড গঠন করতে হবে। স্কোয়াডে বিদেশি ক্যাপড খেলোয়াড় থাকবে ৮ জন। 
(সহায়তাঃ- উইকিপিডিয়া, প্রথম আলো, পরিবর্তন, নয়া দিগন্ত) 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ