কী অদ্ভূত পৃথিবী,আমার আশেপাশে সবাই অবৈধ কাজ সুদ ইত্যাদি দিয়ে লাখপতি হয়ে যাচ্ছে আর আমি সে পুরোনো দোকান নিয়ে পড়ে আছি।তাদের সন্তানদের তারা ভবিষ্যৎ গড়িয়ে দিচ্ছে,আর আমি... আসলে তারা পারে কিন্তু আমি পারি না কারণ কী?হয়তো বিবেক টা বাধা দেয় তাই,কারণ সুদ জিনিসটা গরীবকে আরো গরীব করে দেয় আর ধনীকে আরো ধনী।আচ্ছা তাদের কি বিবেক নেই? একবার ভাবুন কেও আপনার কাছে বিপদে পড়ে টাকা ধার চাইতে এলো তাকে সুদের উপর টাকা দিচ্ছেন,এটা কীভাবে সম্ভব বিবেকে দংশন করে না তাদের?আমার আদৌ সন্দেহ তারা কি সত্যিই মানুষ। আচ্ছা যাই হোক এসব প্রশ্নের হয়তো উত্তর নেই।আমি দুনিয়াতে যে সৎপথে চলবো এর প্রতিদান আছে(আখিরাত ও দুনিয়ায়)??
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

দুনিয়া ও আখিরাত দুটোতেই ফল ভোগ করতে পারবেন

অবশ্যই আখিরাতে এর জন্য অনন্ত পুরস্কার রয়েছে। মহান আল্লাহ তায়া’লা বলেন, 

সূরা আন নাযিয়াত (النّزعت), আয়াত: ৪০-৪১


    ০وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِۦ وَنَهَى ٱلنَّفْسَ عَنِ ٱلْهَوَىٰ


فَإِنَّ ٱلْجَنَّةَ هِىَ ٱلْمَأْوَىٰ




অর্থঃ পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে, তার ঠিকানা হবে জান্নাত।

 

আবার অন্যদিকে যারা সুদ খায় তাদের জন্য আল্লাহ কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন। আল্লাহ বলেন,

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৭৮


يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَذَرُوا۟ مَا بَقِىَ مِنَ ٱلرِّبَوٰٓا۟ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ


অর্থঃ হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক।

অতএব, আপনি অন্যদের অনৈতিক কর্মকান্ড দেখে হতাশ হয়ে যাবেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনাকে এর জন্য দো-জাহানে উত্তম প্রতিদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।  আর "নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না।"



সৎকাজ করলে দুনিয়ার জীবন সুখের হয় ,আল্লাহর রহমত নাযিল হয় । সৎকাজ করলে আখিরাতে জান্নাত পাওয়া যায় ।