শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আমাদের জানা মতে বাংলাদেশে হালাল পণ্যের সুনির্দিষ্ট কোনো তালিকা নেই। বাংলাদেশে হালাল পণ্যের সংখ্যা তো কোটির ঘর ছাড়িয়ে যাবে। যেহেতু এটি একটি মুসলিম প্রধান দেশ। এখানে হালাল পণ্যের সংখ্যাই বেশি। আর বিদেশী পণ্যের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সন্দেহ হতে পারে। সুনিশ্চিতভাবে সেগুলোকেও হারাম পণ্য বলা যাবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত জানা না যাবে, এগুলো হারাম উপাদান দ্বারা প্রস্তুতকৃত ততক্ষণ পর্যন্ত সেগুলোকে হারাম বলা যাবে না। সারকথা, হালাল পণ্যের নির্দিষ্ট কোনো সীমা পরিসীমা নেই। তাই সুনির্দিষ্টভাবে এর তালিকা প্রদান করা অসম্ভব। তবে হালাল ও হারাম পণ্য নির্ণয়ের কিছু মূলনীতি বলে দেয়া যেতে পারে। যথা :

১। মাংস জাতীয় পণ্য হলে তা মুসলিমদের কাছে হালাল কি না তা জেনে নিতে হবে। এবং জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ বলা হয়েছে কিনা  তা যাচাই করে নিতে হবে। তবে মুসলিমগণ জবাই করলে সন্দেহ করার প্রয়োজন নেই। সাধারণত মুসলিমগণ বিসমিল্লাহ বলেই জবাই করে থাকে। তবে নিশ্চিতভাবে যদি জানা যায়, বিসমিল্লাহ বলা হয় নি তাহলে তা আহার করা বৈধ হবে না। 

২। অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে দেখতে হবে তাতে হারাম উপাদান মিশ্রিত করা হয়েছে কি না। যদি হারাম উপাদান মিশ্রিত করা হয় এবং সে হারাম উপাদানের মৌলিকত্ব অবশিষ্ট থাকে তাহলে তাও ব্যবহার করা বৈধ নয়। 

৩। পণ্যটি কোনো বিধর্মীদের ধর্মীয় রীতি নীত ও সংস্কৃতি প্রকাশক কি না। এমনটি হলেও তা ব্যবহার করা বৈধ নয়।

উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে হালাল হারাম নির্ণয় করে নেয়া যেতে পারে।




ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ