Call

#9  ,চেন্নাইয়ে আইসিসি অনুমোদিত একটি পরীক্ষাগারেই কাল বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা হয়েছে আরাফাত সানির, আজ  ,পরীক্ষা হয়েছে তাসকিন আহমেদেরও। পরীক্ষাগারে আসলে কী হয়, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সেটিরই কিছুটা অভিজ্ঞতা শোনালেন বাংলাদেশের আরেক স্পিনার সোহাগ গাজী।

 , ,
তিনি বলেন, পরীক্ষা ল্যাব সাধারণত ইনডোরের মতোই। পিচ-স্টাম্প থাকে। ক্যামেরা বসানো অনাবৃত গায়ে সেখানে বোলিং করেন বোলাররা। সোহাগের সামনে যেন ভেসে উঠল বোলিং করার সেই স্মৃতি, ‘সর্বোচ্চ তিন-চার ওভার বোলিং করতে বলা হয়েছিল আমাকে। কত ওভার বোলিং করতে হবে, সেটি নির্দিষ্ট নয়। ম্যাচে যে বলের অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সেটির ভিডিও ও ছবি দেখানো হয়। নির্দিষ্ট করে বললে, যে বলগুলোয় সমস্যা দেখা দিয়েছিল, সেগুলোই করতে বলে।’

final aniamtion2

২০১৪ সালের আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল সোহাগ গাজীর বোলিং অ্যাকশন। দুই মাস পর এই অফ স্পিনারের পরীক্ষা হয়েছিল কার্ডিফ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ল্যাবে। কিন্তু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি সোহাগ। পরে আরও কিছু কাজ করে পরীক্ষা দেন চেন্নাইয়ের স্যার রামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে। ওই পরীক্ষার পরই গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি পরিশুদ্ধ ঘোষিত হয় তার বোলিং অ্যাকশন।

সোহাগ আরও বলেন, প্রথমেই দেখা হবে বোলারের জন্মগত সমস্যা আছে কিনা। এর পর চলবে হাতের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। হাত ওপর-নিচ করে বেশ কবার ওঠা-নামা করতে বলা হবে। কখনো বা ঘোরাতে বলা হবে। অনেকটা ওয়ার্মআপের মতো। প্রক্রিয়াটা কত জটিল, ভালোই জানেন সোহাগ, ‘পরীক্ষা শুরুর আগে ১০-১৫ মিনিট হাত নিয়ে ওরা যে কাজ করে, সত্যি যন্ত্রণাদায়ক! না দেখলে বোঝা যাবে না। এর পর জানতে চাইবে, শারীরিকভাবে ক্লান্ত কি না। ‘‘প্রস্তুত’’ বললে শুরু হবে পরীক্ষা।’

এরপর শুরু শরীরে ক্যামেরা বসানোর কাজ। ক্যামেরা বসানোর আগে খানিকক্ষণ বোলিং অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হবে। যাচাই করে দেখা হবে, বোলিং করতে সমস্যা হচ্ছে কিনা। যদি সমস্যা থাকে, সেটি ঠিক করে দেওয়া হবে। বোলার যদি ডানহাতি হন, তবে শরীরের ডান পাশেই থাকবে বেশির ভাগ ক্যামেরা। আর বাঁহাতি হলে ক্যামেরার আধিক্য থাকবে বাঁ দিকে। সোহাগের ক্ষেত্রে ক্যামেরা ছিল ১৬-১৭টি।

একটা সমস্যা অবশ্য হয়েছিল সোহাগের, ‘কার্ডিফে পরীক্ষা দেওয়ার সময় আমার বোলিং অ্যাকশনের ভিডিও দেখানো হয়নি। ওখানে রিয়াদ ভাইয়ের (মাহমুদউল্লাহ) ভিডিও দেখানো হয়েছিল। এর পর পাঁচটা ছবি দেখানো হলো। সেগুলো রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ও সাকিব ভাইয়ের বোলিংয়ের। দেখে বেশ অবাকই হলাম! আমি আরেক বোলারের অ্যাকশনে বোলিং করব কীভাবে? তখন ওরা আমার অ্যাকশনেই বোলিং করতে বলল।’

যে অ্যাকশন সেখানে দেখানো হবে, সেই অনুযায়ী বোলিং করতে হবে। একটু এদিক-ওদিক হলে ফের করতে হবে। পরীক্ষার শেষে জানিয়ে দেওয়া হবে ফল প্রকাশের তারিখ। নির্ধারিত তারিখে সাধারণত আইসিসি ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়ে দেয় ফল। সেটি ইতিবাচক হলে বোলার যেন প্রাণ ফিরে পান শরীরে। এখন সেই সুখবরের অপেক্ষায় তাসকিন-সানি।