শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shohanrand1

Call

আসুন কুরআনের একটি আয়াতে পর্যবেক্ষন করি- 096.015 كَلا لَئِنْ لَمْ يَنْتَهِ لَنَسْفَعًا بِالنَّاصِيَةِ 096.015 Let him beware! If he desist not, We will drag him by the forelock,- 096.016 نَاصِيَةٍ كَاذِبَةٍ خَاطِئَةٍ 096.016 A lying, sinful forelock! কখনই নয়, যদি সে বিরত না হয়, তবে আমি মস্তিষ্কের সামনের কেশগুচ্ছ ধরে হেঁচড়াবই- মিথ্যাচারী, পাপীর কেশগুচ্ছ। (96: 15-16) Al-Qur'an, 096.015-016 (Al-Alaq [The Clot, Read]) ‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪ ‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষন- ‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪কেশগুচ্ছ ধরে হেঁচড়াবই- মিথ্যাচারী, পাপীর কেশগুচ্ছ। এ প্রকাশটি সবচেয়ে খেয়াল করার দাবী রাখে। বেশ কিছু বছর আগের চালানো গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে যে, মস্তিষ্কের প্রিফ্র্রন্টাল অঞ্চল যা মস্তিষ্কের বিশেষ বিশেষ কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, তা মাথার খুলির অভ্যন্তরে সামনের অংশে বিদ্যমান। এই অঞ্চলের কর্মপদ্বতি সম্পর্কে বিজ্ঞানীগণ গত ষাট বছরে আবিষ্কার করেছেন বা জানতে সমর্থ হয়েছেন। যা কিনা কোরআনে ১৪০০বছর আগেই নির্দেশিত হয়েছিল। যদি মাথার খুলির অভ্যন্তরের আর সম্মুখভাগের অংশে দেখা হয় করি তাবে আমরা সেরিব্রামের ফ্রন্টাল অঞ্চলটি খুজে পাব। নিউরোরোজিক্যাল সায়েন্সের বিখ্যাত রচনা Essentials of Anatomy andu Physiology , যেখানে এই অঞ্চলের কার্যাবলীর উপরের সর্বশেষ গবেষণার ফলাফলের কথা উল্লেখ রয়েছে, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে- ”পরিকল্পনা করার আর নড়াচড়া শুরু করার জন্য উদ্বুদ্ধতা আর দুরদর্শিতা মস্তিষ্কের সামনের লোবের (frontal lobe) সম্মুখের অংশে অর্থাৎ প্রিফ্রন্টাল অঞ্চলে ঘটে থাকে। এটি সহযোগী কর্টেক্সের অঞ্চল...।” বইটি হতে আরো কিছু উল্লেখ করা যায়- "Pre-Frontal অঞ্চলের উদ্বুদ্ধ করার কাজে জড়িত থাকার সম্পর্কে বলতে গিয়ে এটিও ধারণা করা হয় যে, এই অঞ্চলটি আগ্রাসনের কার্যকর কেন্দ্র । তাই সেরিব্রামের এই অঞ্চলটি পরিকল্পনা, উদ্বুদ্ধ করা আর ভাল ও মন্দ আচরণ শুর করা এবংসত্য-মিথ্যা বলার জন্য দায়ী।" ‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪ ব্যাখ্যাটি সম্পূর্ণরূপে সঙ্গতিপূর্ণ। বিজ্ঞানীগণ গত ষাট বছরে যে বিষয়টি আবিষ্কার করেছে, তাই অনেক অনেক বছর আগে মহান আল্লাহ কোরআনে উল্লেখ করেন। ইবনে কাসির ও ইবনে জারিরের বক্তব্য:- এই আয়াতগুলিতে মক্কায় মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ঘোর শত্রু আবু জেহেলের কথা বলা হয়েছে। কুরআন মাজিদ বলে, সে মিথ্যা বলত এবং তাকে এমর্মে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে, তাকে ‘নাসিয়া’ ধরে নিয়ে যাওয়া হবে, যার অর্থ হল কপাল। আরেকটু ব্যাখ্যা-মিথ্যা ও কপালের মধ্যে সম্পর্ক কি?- মানুষের মাথার খুলির সম্মুখভাগ frontal lobe (মস্তিষ্কের যে ভাগ স্বেচ্ছাচালিত পেশীর আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করে)- এর সম্মুখপূর্ব অঞ্চল নিয়ে গঠিত। ব্যবচ্ছেদ বিদ্যা বিশারদ ও শরীয়ততত্ত্ববিদগণ বলেন, পরিকল্পনার প্ররোচনা ও দূরদৃষ্টি এবং প্রাথমিক আলোড়নের ঘটনা সংঘটিত হয় সম্মুখপূর্ব Cerebrum-এর সম্মুখস্ত (উপরের অংশের) লবের পেছনের অংশে। ডা. শিলি রড তার Essentials of Anatomy and Physiology (Mosby Year book inc,p,112.st Louis 1966) নামক গ্রন্থে লিখেন, পরিকল্পনার প্ররোচনা ও দৃরদৃষ্টি এবং প্রাথমিক গতি সঞ্চারিত হয় সম্মুখস্ত লবের পেছনের অংশে, সম্মুখপূর্ব অঞ্চলে। প্ররোচনার ক্ষেত্রে জড়িত থাকার কারণে সম্মুখপূর্ব অঞ্চলকে আগ্রাসনের কার্যকরী কেন্দ্র বলেও বিবেচনা করা হয়। এ থেকে প্রতীয়মান হয়, যখন একজন লোক সত্যকে প্রত্যাখ্যান করে তখন কপালকে মিথ্যাবাদী ও পাপিষ্ঠ বলে আখ্যায়িত করা অধিক উপযুক্ত। কুরআন মাজিদ এটিকে নির্দেশ করে মিথ্যাবাদী, পাপিষ্ঠ ‘নাসিয়া’ বলে। প্রফেসর কিথ মুর-এর মতে, বিজ্ঞানীরা কেবল বিগত ষাট বছরেই এ বিষয়টি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। অথচ আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে এই ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন শত শত বছর পূর্বে। এ অধ্যায়ে বর্ণিত মুজিজাসমূহ এ কথার আরো অধিক সাক্ষ্য বহন করে যে, কুরআন মাজিদ সর্বজ্ঞাতা সৃষ্টিকর্তা, বিশ্ববাসী ও মানব জাতির রিজিকদাতা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ আসমানি গ্রন্থ। না মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আর না সে যুগের মানুষের এই জ্ঞান কিংবা এমন সুযোগ ছিল যে, তারা কুরআন মাজিদে বর্ণিত মানব জীববিজ্ঞান সংান্ত জ্ঞান লাভ করবে। বস্ত্তত কুরআন মাজিদে মানব জীব-বিজ্ঞান সংান্ত যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান রয়েছে তা মানুষ কেবল সম্প্রতি আবিষ্কার করেছে। বিবেচক ও চিন্তাশীল ব্যক্তিমাত্রেই কুরআন মাজিদকে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ নির্দেশনা গ্রন্থ বলে স্বীকার করবে, গ্রহণ করবে এবং এর আদেশের সামনে মাথা নত করবে। ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তোমরা মানুষ হয়ে এখানে-সেখানে ছড়িয়ে আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি মাঝে ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে সে, কওমের জন্য যারা চিন্তা করে। আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে আসমান ও জমিনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও তোমাদের বর্ণের ভিন্নতা। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য। আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে রাতে ও দিনে নিদ্রা ও তার অনুগ্রহ থেকে তোমাদের (জীবিকা) অন্বেষণ।নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা শোনে। আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদেরকে ভয় ও ভরসা স্বরূপ বিদ্যুৎ দেখান, আর আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর তা দ্বারা জমিনকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে সে কওমের জন্য যারা অনুধাবন করে। (রুম, ৩০ : ২০-২৪) আল্লাহ আমাদের বোঝার তাওফিক দান করুন। লেখকঃ Sharear Azam http://www.techtunes.com.bd/sci-tech/tune-id/190384

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ