শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shohanrand1

Call

এ সাগরে কোন মাছ বা জলজ প্রানি বাঁচে না। কেবল কিছু ব্যক্টরিয়া ও ছত্রাক জাতীয় অনুজীব পাওয়া যায়। এ জন্যই একে মৃত সাগর বলে। কারন হল মৃত সাগরে পানির ঘনত্ত্ব খুব বেশি। পানির ঘনত্ত্ব বেশির কারন হচ্ছে লবন। অন্যান্য মহা সাগরে লবনের পরিমান শতকরা ৫% - ৬%। কিন্তু এ মৃত সাগরে লবনের পরিমান ২৫% - ৩০%। তাছাড়া এর লবনাক্ততা স্বাভাবিক সাগরের থেকে ৮.৬ গুন বেশি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
RohanVesper

Call

সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৪২০ মিটার(১,৩৭৮ ফিট) নিচে এটি পৃথিবীর নিম্নতম স্থলভূমি । এটি সমুদ্রের পানির চাইতে ৮.৬ গুণ বেশি লবণাক্ত । সাগর বলা হলেও এটি মূলত একটি লেক যার সর্বোচ্চ গভীরতা ১,২৪০ ফুট। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৭ কিলোমিটার এবং প্রস্থে সর্বোচ্চ ১৮ কিলোমিটার। বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে , মহাসাগরের পানির তুলনায় ডেড সির পানিতে মিশে থাকা খনিজ উপাদানগুলোর পার্থক্য আছে । মৃত সাগরের পানিতে মিশে থাকা লবণে ১৪% ক্যালসিয়াল ক্লোরাইড , ৪% পটাশিয়াম ক্লোরাইড , ৫০% ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড এবং ৩০% সোডিয়াম ক্লোরাইড রয়েছে । এর লবণাক্ততা শতকরা ৩০% । ফলে পানির ঘনত্ব ১.২৪ কেজি/লিটার ।উচ্চ প্লবতার দরুন যে কেউ মৃত সাগরের পানিতে ভেসে থাকতে পারে । এই আচরণ যুক্তরাষ্ট্র-এর ইউটাহ তে অবস্থিত গ্রেট সল্ট লেক এর মত । এ হ্রদে কোন উদ্ভিদ বা মাছ বাঁচে না বলেই মূলত একে মৃত সাগর বলা হয়ে থাকে । কেবল সামান্য কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক অণুজীবের সন্ধান পাওয়া যায় । ২০০১ সালে মৃত সাগর থেকে প্রাপ্ত ব্রাইন থেকে ইসরায়েল ১.৭৭ মিলিয়ন টন পটাশ , ৪৪,৯০০ টন কস্টিক সোডা , ২০৬,০০০ টন ব্রোমিন এবং ২৫,০০০ টন ম্যাগনেসিয়াম ধাতু এবং সোডিয়াম ক্লোরাইড উৎপাদন করে । জর্ডান প্রান্তে ১৯৫৬ সালে স্থাপিত হয় আরব পটাশ(এপিসি) । এটি বাৎসরিক ২ মিলিয়ন টন পটাশ উৎপাদন করে । এছাড়া উৎপাদিত হয় সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং ম্যাগনিসয়াম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ