প্রধানত তিনটি কারনে শিশুর বয়সের তুলনায় ওজন বাড়তে দেখা যায়। বংশানুক্রমিক ধারা : মা, বাবা বা পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকলে শিশুরা মোটা হতে পারে। মায়ের যদি ডায়াবেটিস থাকে বা মা যদি মোটা হন, তাহলে নবজাতকের ওজনও বেশি হয়। শৈশবে শিশুদের ওজন বেশি থাকলে পরবর্তী সময়েও তারা মোটা হতে থাকে। হরমোনজনিত কারণ : শরীরে কোনো কোনো হরমোনের তারতম্য হলে শিশুরা স্থূল হতে পারে। পরিবেশগত কারণ : এর মধ্যে আছে শিশুর জীবনাচরণ; যেমন- দৈনন্দিন কাজ, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক শ্রম। শিশুর জীবনাচরণ ওজন বাড়ার প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। এছাড়া শারীরিক শ্রমে যেটুকু শক্তি ব্যয় হয়, তার চেয়ে বেশি ক্যালরি খাওয়া স্থূলতার প্রধান কারণ। শিশুর ওজন বেড়ে গেলে পরবর্তী সময়ে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই স্থুলতা রোধে একটু বড় হয়ে শিশুরা কিছু কাজ বাসায় করতে পারে; যেমন- নিজের বই-খাতা, ব্যাগ, কাপড় গুছিয়ে রাখা, ঘর পরিষ্কার করা, বাসায় অন্যান্য কাজে মা-বাবাকে সাহায্য করা। অভিভাবকরা শিশুর স্থুলতা রোধে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। যেমন, - শিশুকে ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধ দেওয়া। কৌটার দুধ বা কৃত্রিম খাবার খেলে শিশু দ্রুত মোটা হয়ে যায়। - ছয় মাস বয়স থেকে পরিবারের খাবার, যার মধ্যে অবশ্যই শাকসবজি, ফলমূল থাকবে। ভাত, আলু, মিষ্টি কম খেতে দিতে হবে যদি শিশুর ওজন বেড়ে যেতে থাকে। ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, চকলেট, আইসক্রিম কম খেতে দিতে হবে। - শিশুকে নিজের কাজ করতে উৎসাহিত করতে হবে। - বাইরে খেলাধুলার সুযোগ করে দিতে হবে। মনে রাখবেন, স্থূলতা একটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা। শিশুর ওজন বেড়ে গেলে তা বাড়তেই থাকে। শিশুর জীবনযাপন পরিবর্তনে মা-বাবার সচেতনতাই স্থূলতাকে প্রতিরোধ করতে যথেষ্ট।