শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কম্পিউটারগুলো নিজেদেরকে প্রথমত বিভিন্ন ধরণের স্থানীয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত করে। স্থানীয় কম্পিউটারের এই নেটওয়ার্কগুলো পরবর্তীতে আরেকটি নেটওয়ার্কের সাহায্যে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হয়। এভাবেই বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।  ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই, প্রথমত একটি কম্পিউটার নিজস্ব মডেম বা LAN এর মাধ্যমে কোন একটি ISP (Internet Service Provider) বা ইন্টারনেটের সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে এবং সেই আইএসপির মাধ্যমে সে নিজেকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করে।  আরেকটু যদি সহজ ভাবে বিশ্লেষণ করতে চাই; তাহলে বলতে পারি, একটি পিসি বা LAN যে ISP’র সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে, সেই ISP টি আবার বৃহত্তর কোন ISP’র সাথে সংযুক্ত। এবং ISP’র এ ধারাবাহিকতায় কোন দেশ বা অঞ্চলের বৃহত্তম যে ISPটি পাওয়া যাবে তা সাধারণত কোন ফাইবার অপটিক ব্যাকবোনের সাথে সংযুক্ত থাকে। এই ধরণের ব্যাকবোনগুলো উচ্চতম গতির অপটিক্যাল-ফাইবার তার (যা কিনা সমুদ্র তলদেশে অবস্থিত!) বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত। এবং এভাবেই দেখা যাচ্ছে পৃথিবীর দুই বিপরীত প্রান্তে অবস্থিত দুটি বা ততোধিক কম্পিউটার অনায়াসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ