জারীর দরখাস্ত ডিক্রির কতদিন পর দায়ের করা হলে দায়িকের উপর অবশ্যই নোটিশ জারী করতে হবে?

সঠিক উত্তর: ২ বছর
Executable ডিক্রীর ক্ষেত্রে ডিক্রী জারী (Decree Execution) হলো মামলা নিষ্পতির মূল প্রাণ। যেকোন দেওয়ানী প্রকৃতির মামলার বিচার নিস্পত্তি হয় আদালত কর্তৃক ঘোষিত রায়ে ডিক্রী বা ডিস্মিস এর মাধ্যমে। যে সকল মামলার ডিক্রি শুধু রায় ঘোষণার মাধ্যমে চূড়ান্ত নিস্পত্তি হয় না তা আদালতের পরবর্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে (জারী) চূড়ান্তভাবে নিস্পত্তি করতে হয়, সে সকল কার্যক্রমই ডিক্রী জারীর আওতাভুক্ত। যেমন কোন ব্যক্তি তার স্বত্ব দখলীয় জমি হতে বেদখল হলে বেআইনী দখলদারকে উচ্ছেদ পূর্বক তাতে ডিক্রীদারকে (বাদী) খাস দখল পেতে ডিক্রী জারী করতে হয়। সম্পত্তিতে বিভিন্ন ওয়ারেশ বা ক্রয় সূত্রে অংশীদারগণের মধ্যে স্বত্ব দখলীয় অংশ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে এবং আদালত প্রার্থীগণের অংশ মোতাবেক বাটোয়ারা ডিক্রী প্রদান করলে এবং পক্ষগণের মধ্য বণ্টন করে দিতে হলে উক্ত ডিক্রী জারীর মাধ্যমে সমাপ্ত হতে হয়। কেউ মানিস্যুট বা অর্থঋণ আদালতে মামলা করলে এবং ডিক্রী পেলে তা ডিক্রী জারী কার্যক্রমের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হয়। অর্থাৎ ডিক্রী পেলেও তা জারীর মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নিস্পত্তি না হলে ৬ মাস থেকে ২০/২৫ বছর মামলা চালিয়ে ডিক্রী পেলেও তা অর্থহীন হয়ে যায়। অর্থাৎ শুধু ঘোষণামুলক ডিক্রী ছাড়া সকল Executable ডিক্রী আদালতের মাধ্যমে কার্যকরী করতে হয়।