সাজেক রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন,
তবে যেতে হয় খাগড়াছড়ির দিঘীনালা হয়ে।
*ঢাকা-খাগড়াছড়ি বাস পাবেন,ভাড়া ৫২০ টাকা, এস আলম, সৌদিয়া, ঈগল,
শ্যামলী, শান্তি এবং সেন্টমার্টিন (এসি) পরিবহণের বাস চলাচল
করে এই রোডে। ঢাকা-দিঘীনালা বাস ভাড়া ৫৭০।
টাকা, খাগড়াছড়ি -সাজেক জীপ রিজার্ভ ৯০০০+। দিঘীনালা-
সাজেক জীপ রিজার্ভ ৭০০০+ যাওয়া আসা মিলিয়ে (একদিন
দিয়ে আসবে আরেকদিন যেয়ে নিয়ে আসবে এবং
আশপাশের স্পট গুলো ঘুরিয়ে আনবে) সকালে গিয়ে
বিকেলে ফিরে আসলে ৪০০০+। দুই তিনজন হলে বাইক/
সিএনজি-তে যাওয়া যায়, বাইকে দুজন ৬০০+ শুধু যাওয়ার
জন্য, সিএনজি রিজার্ভ ৩০০০+ যাওয়া আসা।
*একটি জীপ১৫ জন যাওয়া যায়।
*দিঘীনালা থেকে সাজেক যেতে দুই আড়াই ঘন্টা লাগে।
*এই রোডে কোন লোকাল পরিবহণ নেই।
*সাজেকে কোন গাড়ি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, তাই যে
গাড়িতে যাবেন তাদের সাথেই আসার ব্যাপারে কথা বলে
রাখবেন।
*সাজেকে হোটেল রিসোর্ট -এর পাশাপাশি স্থানীয়দের বাসায় থাকা যায়।
আলো রিসোর্ট -এ বুকিং-এর জন্য-ruilui, sajek : 01863
606906 head office : 01755 556699 tel: 0371-62067
*সাজেকে সর্বনিম্ন ১৫০ টাকায় থাকা যায়।১৫০ টাকায়
মোটামুটি মানের খাবার পাওয়া যায়।
*ক্যাম্পিং করা যায় তবে ডিউটি আর্মি অফিসারের অনুমতি
সাপেক্ষে।
*সাজেকে নিরাপত্তার কোন সমস্যা নাই।
*২জন যান অথবা ১০জন যান প্রতিজন ৪০০০ টাকার মধ্যেই
ট্যুর শেষ করা সম্ভব।
*সাজেকে বিদ্যুৎ নেই, সবকিছু সোলারে চলে, এমনকি
ল্যাম্প পোস্টও!
*সাজেকের রুইলুই পাড়া থেকে কংলাক পাড়া যেতে প্রায়
৩০-৪০মিনিট লাগে।
*প্রাইভেট কার নিয়ে সাজেক যাওয়া যায়।
*রবি এবং টেলিটক ছাড়া আর কোন নেটওয়ার্ক নেই , রবি
অপেক্ষাকৃত ভালো।
*সাজেকে যাওয়ার উপযুক্ত সময় সারাবছরই, যখনি যান
সাজেকের একটা রুপ পাবেনই, সাজেক আপনাকে
কখনোই নিরাশ করবেনা। (তবে আমার ভালো লাগে
বর্ষার বিকেলের সাজেক এবং শরৎ অথবা হেমন্তে
সাজেকের পূর্ণিমারাত!)
*সাজেকের উচ্চতা ১৮০০ ফুট (আমি নিজে মেপে
দেখিনি, তবে আর্মি যেদিন তাদের যন্ত্রপাতি দিয়ে
মাপছিলো সেদিন সেখানে থাকার সৌভাগ্য হয়েছিলো!)
*যদি আর্মি অফিসারদের কোন অনুষ্ঠান না থেকে থাকে
তাহলে রাতে যতক্ষণ ইচ্ছে বাহিরে থাকতে পারবেন।
অফিসার গেলে সাধারণত ১১/১২ টার পরে বাহিরে থাকতে
দেয়না।
*২-৩ ঘন্টা সময় নিতে ঘুরে আসতে পারেন সিকাম তৈসা
ঝর্ণা, স্থানীয় কাউকে নিয়ে নেবেন গাইড
হিসেবে,৩০০-৪০০ টাকা দিলেই হবে। *মিনারেল
ওয়াটার, বিস্কিট, সিগারেট এই ধরনের ছোটখাটো জিনিষ
সাজেকে পাওয়া যায়,কষ্ট করে বয়ে নিয়ে যাওয়ার
প্রয়োজন নেই।
*সর্বশেষ একটি গোপন প্রশ্নের ওপেন উত্তর দেই!
সাজেকে বিয়ার, হুইস্কি অথবা এই টাইপের কিছু এখন পাওয়া
যায় না। স্থানীয় আদিবাসীদের তৈরি একটি পানীয় পাওয়া
যায়,তবে ওইটা খেলে খুব মাথা ঘোরায় এবং আপনি সোজা
হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন না, যেখানেই দাঁড়াবেন
সামনে পিছনে এবং ডানেবামে দুলতে থাকবেন!এটা
থেকে দূরে থাকাই ভালো!)