কোন মানুষ যদি নিজের জন্য একটু পরপরই বদদোয়া করে এবং মানুষটি যদি তা কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তাহলে কি আল্লাহ তার সেই বদদোয়া কবুল করে তাকে শাস্তি দিবেন কি ?
প্লিজ নিচের উদাহরণ গুলো একটু পড়ে নিবেন:-
উদাহরণ 1: মানুষটি কোন একটা কাজ করছে, কাজটা করার সময় হঠাৎ করে মনে মনে বদদোয়া করে বলে যে যদি আমি কাজটি এইভাবে না করি তাহলে আমার যেন ওই ওই ক্ষতি হয়ে যায়।তখন মানুষটি ঐভাবে কাজটা করতে থাকে, যেভাবে কাজ করার পদ্ধতি বদদোয়াতে উল্লেখ করেছিল যাতে তার বদদোয়া না লাগে।
উদাহরণ 2: মানুষটি হয়তো হাত ধুচ্ছে, তখন হঠাৎ করে বলে ফেলে বা মনে মনে বলে যে, যদি এই কয়বার/পদ্ধতিতে হাত না ধুই তাহলে আল্লাহ যেন আমার অমক ক্ষতিটা করে দেয়। তখন আবার লোকটি বদদোয়াতে উল্লেখ করা পদ্ধতিতে হাত ধুতে থাকে,যাতে তার বদদোয়া না লাগে ।
উদাহরণ 3:লোকটি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে, তখন কোন একটা গাড়ি দেখলো তখন হঠাৎ করে বলে ফেললো যে যদি গাড়িটা আসার আগেই আমি যদি ঐ পর্যন্ত যেতে না পারি তাহলে আল্লাহ যেন আমাকে ধ্বংস বা কোন ক্ষতি করে দেয়। তারপর লোকটি ওই গাড়িটা আসার আগেই ওই জায়গা পর্যন্ত যাবার জন্য তাড়াহুড়া করে চলে যাবার চেষ্টা করে, যাতে গাড়িটা আসার আগেই সে ওই জায়গাটায় পৌঁছতে পারে এবং তার বদ দোওয়ার শর্ত পূরণ না হয় এবং বদদোয়াটা না লাগে।
উদাহরণ 4: লোকটা নামাজ পড়ছে এবং মনে মনে ঠিক করে রেখেছে যে অমুক সুরা সে পড়বে ।কিন্তু হঠাৎ করে নিজেকে বদদোয়া দিয়ে ফেলল যে যদি ওই অমক সূরা টা যদি আমি না পড়ি তাহলে আমার যেন ওই ওই ক্ষতি হয়ে যায় বা আল্লাহ যেন আমার অমুক অমুক ক্ষতি করে দেয় ।তখন লোকটি আগে থেকে ঠিক করে রাখা সুরাটা পড়া বাদ দিয়ে বদদোয়ায় উল্লেখ করা সুরা পড়তে থাকে যাতে বদ দোয়া কবুল হওয়ার শর্ত পূরণ না হয় এবং বদদোয়াটা না লাগে।
এভাবে সে প্রায় প্রত্যেকটা কাজের ক্ষেত্রেই নিজের জন্য বদ দোয়া করে। এরকম বিভিন্ন পদ্ধতিতে এবং একটু পরপরই বদদোয়া করাটা সে কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কোন কোন সময় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মুখে আবোল তাবোল কিছু বলে বা চেঁচামেচি করে ওঠে যাতে নিজেই নিজেকে বদদোয়া করা থেকে বিরত থাকতে পারে। আমি জানতে চাচ্ছি যে এই লোকটার বদদোয়া কি আল্লাহ কবুল করে তাকে কি কোনো শাস্তি দিবে?
কারণ লোকটার বদদোয়াতে উল্লেখ করা পদ্ধতিতে কাজ করা সবসময়ই সম্ভব হয়না এবং এতে অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়।