আল্লাহ তায়ালার নামে শিরকমূলক এবং গালিমূলক কথা বলার আগে এবং পরে কেউ নিজেই নিজের জন্য আল্লাহর কাছে শাস্তি চায় তাহলে আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন কি দেবেন না তা আল্লাহ তায়ালাই যানেন । আল্লাহ তায়ালা সব শোনেন এবং জানেন । সূরা বাকারার ১৮১ নং আয়াতে আছে- আল্লাহ তায়ালা সব শোনেন এবং যানেন ।
কেউ যদি নিজের শাস্তি চেয়ে আল্লাহকে বলে
আমি যে শাস্তি চাইলাম এই শাস্তি বিষয়ক কোনো কথা যেমন নিজের কামনাকৃত শাস্তিটি মওকুফ বিষয়ক কোনো কথা তুমি গ্রহণ করবা না। আল্লাহ তায়ালার শাস্তি খুব কঠোর । কোন মানব এ শাস্তি সহ্য করতে পারবে না । আলাহকে ভয় কর, আল্লাহ শাস্তিদানে অত্যন্ত কঠোর। (সুরা মায়িদাহ আয়াত ২) ।
আল্লাহর নামে শিরকমূলক এবং গালিমূলক কথা বলা অত্যন্ত মারাত্মক অপরাধ । আল্লাহ তায়ালা শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করেন না ।
নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা শেরেকী গুনাহ ক্ষমা করবেন না । এটা ছাড়া অন্য সমস্ত গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেবেন । আর যে আল্লাহর সাথে শরিক করল, সে অতি কঠিন গুনাহে লিপ্ত হল । (সূরা নিসা আয়াত ৪৮)। গালি দেওয়া ফাসেকি । তবে আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত সকল গুনাহ আল্লাহ ইচ্ছা করলে মাফ করে দেবেন । তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু । (সূরা যুমার আয়াত ৫৩)। এটি যেহেতু কুরআনের আয়াত তাই
এ বিষয়ে কোন মাযহাব ও ইসলামিক দলের দ্বিমত পোষণের কোন কারণ নেই ।
সে নিজের
কামনাকৃত শাস্তি থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে ।
তোমরা তোমাদের প্রভুর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো ।তার নিকট খাটি দিলে তওবা করো । নিঃসন্দেহে আমার প্রভু গুনাহ ক্ষমাকারী ও প্রেমময় । (সূরা হুদ রুকু ১৮)। আল্লাহর কাছে গুনাহকারিকে খাটি দিলে তওবা করতে হবে ।
রাসুল (সঃ) বলেছেন,যে গুনাহ হতে খাটি দিলে তওবা করে থাকে, সে ঐ লোকের ন্যায় হয়ে যায়, যার কোন গুনাহ নেই।(ইবনে মাজাহ ও তাবারানি)।
তওবা করার সঠিক পদ্ধতিঃ
১। সকল পাপ ত্যাগ করতে হবে ।
২। পাপকে আল্লাহর কাছে তুলে ধরতে হবে ।
৩। যে পাপের জন্য তওবা করছেন তা ভবিষ্যতে না করার নিয়ত করতে হবে ।
আল্লাহ তায়ালা ৯৯ শতাংশ দয়া নিজের কাছে রেখেছেন । বাকি ১ শতাংশ পৃথিবীতে দিয়েছেন । আল্লাহ তায়ালা সবাইকে ক্ষমা করুক ।
সূর্য পশ্চিম দিক থেকে না উঠা পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা তওবা কবুল করবেন।