স্বামী স্ত্রীকে মন থেকে ত্যাগ করলে সেটা তালাক হয়ে যাই। আর তালাক দেওয়ার পর স্ত্রীর উপর স্বামীর আর স্বামীর উপর স্ত্রীর কোন প্রকার কোন অধিকার থাকেনা। তখন তারা একে অপরের সাথে কথা বললেই পাপ হবে। অর্থাৎ সেটা বৈধ নয়। আর মিলন করা ত অনেক পরের ব্যাপার। তখন মিলন করা একদম অবৈধ । কারন তখন স্ত্রী তার কাছে পর মহিলা।
কোনো স্বামী যদি তার স্ত্রীকে বিদায় করে দেয় অথবা ত্যাগ করে দেয় তাহলে তাদের মধ্যে আর স্বামী- স্ত্রীর সম্পর্ক থাকেনা। So তারা ইসলামিক নিয়ম অনোজাই সহবাস করতে পারবেনা। আর করলে তা অবৈধ বলে ধরা হবে। তবে তারা যদি আবার একসাথে থাকতে চায় তাহলে তাদেরকে তাওবা পাঠ করতে হবে। তারপর আবার বিবাহ বন্দনে আবদ্ধ হতে হবে।
মন থেকে ত্যাগ ইসলামী শরীয়তে গ্রহনীয় নয়। যেমন কেহ মন থেকে কলপনা করে অন্যের স্বামী হতে পারে না তেমনি ত্যাগও করতে পারে না। এতটুকু আওয়াজ জরুরী যেন (শোরগোল না থাকলে) সেই আওয়াজ টুকু নিকটবর্তী লোকের কানে স্পষ্ট শুনতে পায়। আর ওই আওয়াজে যদি সে তালাক দিয়ে থাকে তবেই তা তালাক হিসাবে গন্য হবে। প্রশ্নে উল্লিখিত কারণে কখনোই তালাক হবে না।
যদি তাকে তালাক না দেন তাহলে অবশ্যই মিলন বৈধ হবে (জোর করে মিলন করা অবৈধ ও হারাম যা ধর্ষন বলে বিবেচিত)। অর্থাৎ যতক্ষন না আপনি তাকে ডিভোর্স দিচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত সে আপনার স্ত্রী এবং আপনি তার সাথে সহবাস করতে পারবেন তবে জোর করে না ওনার পার্মিসন নিতে হবে। আসলে তখনিই সহবাস করা যাবে না যখন আপনি আপনার স্ত্রীকে তালাক দিলেন। এবং তালাক দেওয়ার পর আর সহবাস করতে পারবেন না। তালাক দেওয়ার পর যদি আবার ওই স্ত্রীকেই বিয়ে করতে চান বা সহবাস করতে চান তাহলে তালাক দেওয়ার পর স্ত্রীর ৩ মাস বা ৩ ঋতুস্রাব অতিক্রম করবে তার পর বিবাহ করতে পারবেন ও সহবাস করতে পারবেন।
আশা করি বুঝতে পারছেন।