স্কাউট ও গার্ল গাইড বিশ্বব্যাপী একটি অরাজনৈতিক সমাজসেবামূলক যুব আন্দোলন। লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল এই স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। স্কাউটিং পদ্ধতিতে ইংল্যান্ডের বালকদের চরিত্রের বিভিন্ন গুণাবলির উন্নতি দেখে তিনি সারা বিশ্বে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেন। ১৯২০ সালে বিশ্ব স্কাউট সংস্থা গঠিত হয়। বিশ্ব স্কাউট সংস্থার প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় অবস্থিত। ভারত বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে ঢাকায় পূর্ববঙ্গ স্কাউট সমিতি গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর এদেশের স্কাউট আন্দোলন এক নতুন রূপ নেয়। ১৯৭২ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকায় দেশের স্কাউট নেতাদের এক সাধারণ সভায় বাংলাদেশ বয় স্কাউট সমিতি গঠিত হয়। ১৯৭৪ সালের ১ জুন বিশ্ব স্কাউট সংস্থা বাংলাদেশ বয় স্কাউট সমিতিকে বিশ্ব স্কাউট কনফারেন্সে ১০৫ তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৮ সালের ১৮ জুন ৫ম কাউন্সিল সভায় বাংলাদেশ বয় স্কাউট সমিতির নাম বদল করে। বাংলাদেশ স্কাউট রাখা হয়।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কাকরাইলে এর প্রধান কার্যালয়। জেলা শহর গাজীপুরের অদূরে মৌচাকে স্কাউটের জাতীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অবস্থিত। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে জাতীয় সংসদ গার্ল গাইড এ্যাসোসিয়েশনকে একটি জাতীয় সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাস করে। ১৯৭৩ সালে এই সংগঠন বিশ্ব গার্ল গাইড অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভ করে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বেইলী রোডে গার্ল গাইডের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত।