মাদকাসক্তি হলো মানসিক ও শারীরিক ক্ষতিকর এক প্রক্রিয়া, যা সেবনকারী ও মাদকের পারস্পরিক ক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হয়। এক কথায় বলা যায়, মাদকের প্রতি নেশাকে মাদকাসক্তি বলে। মাদকাসক্ত ব্যক্তি অভিশাপ স্বরূপ। অতি দ্রুত দেশ থেকে মাদকাসক্তি প্রতিরোধ করা না গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ধ্বংস অনিবার্য। তাই আমাদের মাদকাসক্তি প্রতিরোধ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। মাদকাসক্তি প্রতিরোধ করার জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে
১. মাদকদ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে যুবসমাজ ও জনগণকে সচেতন করার জন্য পাড়া বা মহল্লায় মাদকবিরোধী প্রচার, প্রচারণা, র্যালি, সভা-সমাবেশ পরিচালনা করতে হবে।
২. সমাজে বরেণ্য ব্যক্তি যেমন কবি, সাহিত্যিক, অভিনেতা, শিল্পী, ক্রীড়াবিদ- এদেরকে সঙ্গে নিয়ে মাদকবিরোধী প্রচারণা চালাতে হবে।
৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী প্রচারণা এবং অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। এছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেমন মসজিদে, মন্দিরে ও গির্জায় প্রার্থনায় মাদকের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে।
৪. মাদকাসক্তির কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার জন্য হাট-বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদের ভবনগুলোর দেওয়ালে পোস্টার টাঙিয়ে জনগণকে সচেতন করা যেতে পারে।
৫. মাদকের ছোবল থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করার জন্য তাদেরকে খোলাখুলা চিত্তবিনোদন ও শারীরিক প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রমে ব্যস্ত রাখার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।