নদীর ওপারে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে ডিঙি নৌকা সারিবদ্ধভাবে বাঁধা রয়েছে। কিষাণেরা লাঙল কাধে করে নদী পার হয়, জেলে নদীতে জাল টেনে মাছ ধরে। গরু-মহিষ সাঁতরে নিয়ে নদী পার হয় রাখাল। নদীর ওপারে দিনের বেলা মানুষের কোলাহল থাকলেও রাতের বেলা শেয়াল ডাকে ঝাউঘেরা ডাঙায়। কবি শুনেছেন সেই ঝাউডাঙার ভিতরে জলাভূমি আছে, যেখানে চখাচখী পাখির আসর বসে। সেখানকার শরবনে মানিকজোড় পাখির বাসা রয়েছে। আর কাদায় লেপ্টে রয়েছে, কাদাখোঁচা পাখির বিচরণের চিহ্ন। সন্ধেবেলা ঘরের ছাদের উপর দাঁড়িয়ে কবি খেয়াল করেছেন নদীর ওপারের শাদা কাশের বন, যেখানে জ্যোৎস্না ছড়িয়ে পড়ে।